প্রত্যয় নিয়ে বিষদ আলোচনা।
ধাতু বা শব্দের পরে ভিন্ন ভিন্ন অর্থে যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে সেগুলোই প্রত্যয় বলে।
প্রত্যয়ের প্রকারভেদ।
প্রত্যয় দুই প্রকারঃ কৃৎ প্রত্যয় ,তদ্ধিত প্রত্যয়।
কৃৎ প্রত্যয়ঃ ধাতু বা ক্রিয়ার সাথে যে প্রত্যয় যুক্ত হয় তাকে কৃৎ প্রত্যয় বলে। যেমন – রাঁধ + উনি= রাধুনি।
কৃৎ প্রত্যয় দুই প্রকারঃ
১.সংষ্কৃত কৃৎ প্রত্যয়।
২.বাংলা কৃৎ প্রত্যয়।
সংষ্কৃত কৃৎ প্রত্যয়ঃ ধাতুর সাথে সংষ্কৃত প্রত্যয় যুক্ত হয়ে গঠিত শব্দকে বলে সংষ্কৃত প্রত্যয় ।
যেমনঃ শ্রু + অক = শ্রাবক।
বাংলা কৃৎ প্রত্যয়ঃ প্রাকৃত শব্দের পরে ব্যবহ্রত প্রত্যয়কে বাংলা কৃৎ প্রত্যয় বলে।
যথাঃ হাস + ই = হাসি।
তদ্ধিত প্রত্যয়ঃ মৌলিক শব্দের অন্তে যুক্ত হয়ে গঠিত প্রত্যয়কে তদ্ধিত প্রত্যয় বলে।যথাঃ বর্ষ + ইক = বার্ষিক।
তদ্ধিত প্রত্যয় প্রকারভেদ।
তদ্ধিত প্রত্যয় তিন প্রকারঃ
১.সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয় ।
২.বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয় ।
৩.বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়।
সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়ঃ সংষ্কৃত শব্দের পরে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করাকে সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয় বলে
। যথাঃ শরীর + ইক = শারীরিক ।
বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়ঃ সংষ্কৃত ও বিদেশি প্রত্যয় ব্যতীত বাংলা ভাষায় ব্যবহ্রত প্রত্যয়গুলোকে বলে বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়।যথাঃ চোর + আ = চোরা। কান + আই = কানাই।
বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়ঃ শব্দের শেষে বিদেশি প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করাকে বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয় বলে। যথাঃ বাবু + আনা = বাবুয়ানা ,বাবু + গিরি = বাবুগিরি।