বাক্য কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি । উদাহরনসহ ব্যাখা।

bako

যে পদসমষ্টি বক্তার কোনো মনোভাবকে সম্পূর্ণরুপে প্রকাশ করে তাকে বাক্য বলে।

বাক্যের দুটি অংশ। যথাঃ উদ্দেশ্য ও বিধেয়।

উদ্দেশ্যঃ বাক্যে যার সম্পর্কে কিছু বলা হয় তাকে উদ্দেশ্য বলে।

বিধেয়ঃ কোনো বাক্য উদ্দেশ্য সম্মন্ধে যা কিছু বলা হয় তাকে বলা হয় বিধেয়।

সার্থক বাক্য গঠনের নিয়মঃ

বাক্যের তিনটি গুণ থাকবে। যথাঃ আকাঙক্ষ, আসত্তি, যোগ্যতা।

আকাঙক্ষঃ বাক্যে অর্থ পবিষ্কার ভাবে বোঝার জন্য বাক্যে ব্যবহ্রত একটি পদের পর অন্য পদ শোনার যে আগ্রহ জাগে তাকে আকাঙক্ষা বলে।যেমনঃ সূর্য পূর্বদিকে উদিত হয়।

আসত্তিঃ বাক্যে ব্যবহ্রত পদগুলো মাঝে অর্থের সঙ্গতি বা মিল রাখার জন্য সুশৃঙখলভাবে পদ বিন্যাসকেই বলা হয় আসত্তি।

যোগ্যতাঃ বাক্য ব্যবহ্রত পদগুলোর অর্থগত বা ভাবগত মেলবন্ধনের নামই যোগ্যতা।

যেমনঃ মানুষটি একটি বাঘ খেয়েছে। বাক্যটির অর্থের সাথে বা¯তবের মিল নেই। যদি বলা হয় ’পাখি আকাশে উড়ে’ তাহলে অর্থগত ও ভাবগত মেলবন্ধন প্রকাশ পায়।

বাক্যের গঠনগত দিক।

গঠনের দিক থেকে বাক্য তিন প্রকার ।যথাঃ সরল বাক্য, জটিল বাক্য , যৌগিক বাক্য।

১.সরল বাক্যঃ যে বাক্য একটি মাএ উদ্দেশ্য ও একটি মাএ বিধেয় থাকে তাকে সরল বাক্য বলে।

যেমনঃ দিপা বই পড়ে।

 ২. জটিল বাক্যঃ একটি পূর্ণ বাক্য যদি একটি খন্ডবাক্য ও এক বা একধিক অপ্রধান খন্ডবাক্য পরস্পর সম্পর্কযুক্ত থাকে তবে তাকে জটিল বাক্য বলে।

৩. যৌগিক বাক্যঃ দুই বা ততোধিক বাক্য যখন ও,এবং ,আর, কিন্তু,তথাপি ইত্যাদি অব্যয়ের সাহায্যে যুক্ত থাকে তখন তাকে যৌগিক বাক্য বলে।

যেমনঃ তুমি এবং আমি ঢাকা যাব।

বাক্য পরিবর্তন=

সরলঃ     বিদ্বান হলেও তার অহঙ্কার নেই।

জটিলঃ    যদিও তিনি বিদ্বান, তবুও তার অহঙ্কার নেই।

যৌগিকঃ  তিনি বিদ্বান বটে,কিন্তু তার অহঙ্কর নেই।

সরলঃ     টাকা দিলেই মুক্তি পাবে।

জটিলঃ    যদি টাকা দাও তাহলে মুক্তি পাবে।

যৌগিকঃ  টাকা দিয়েছ সুতরাং মুক্তি পাবে।

সরলঃ     কর্মের অনরুপ ফল পাবে।

জটিলঃ    যেমন কর্ম করবে তেমন ফল পাবে।

যৌগিকঃ  কর্ম কর ,অনরুপ ফল পাবে।

সরলঃ     ধনীরা প্রায়ই কৃপণ হয়।

জটিলঃ    যারা ধনী তারা কৃপণ হয়।

যৌগিকঃ  তারা ধনী কিন্তু কৃপণ।

সরলঃ     অনেকের জীবনেই দুঃখের পর সুখ আসে।

জটিলঃ    যাদের জীবনে আগে দুঃখ আসে ,তাদের পরে সুখ আসে।

যৌগিকঃ  অনেকেরই জীবনে প্রথমে দুঃখ আসে এবং পরে সুখ আসে।

Leave a Comment